নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মণিরামপুর উপজেলা চত্বরে প্রভাতে দেশাত্মবোধক গান শোনা যায় নি, ঘোষণা মঞ্চ থেকে ভেসে আসেনি কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি। এনিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা ঝড়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শোক দিবসে সজ্জিত করা হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। রাতে ছিল না পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। রাত ১২টা ১ মিনিটে স্ট্রেট লাইট এর ক্ষীণ আলোয় মনিরামপুর উপজেলা শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করেন।
তারপর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বিষয়টি। ফুল দিতে আসা চাকুরিজীবি নাদিয়া বলেন, অন্য জায়গায় কি সুন্দর করে সাজায় লাইটিং করে। অন্য বছরও আমাদের এখানে করে তবে এবছর করা হয়নি, এবছর কোন লাইট নেই। সাজানো তো দূরের কথা এবছর কোন দেশত্ববোধক গানও চালায় নি।
সূত্রে জানাগেছে, মণিরামপুর উপজেলা শহীদ মিনারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সভাপতিত্বে সাজসজ্জার দায়িত্ব ছিল পৌরসভা মেয়রের। এবিষয়ে সচেতন মহলের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সাংবাদিক সুমন চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে। এতো বড় একটা রাষ্টীয় কর্মসূচিতে কেন এতো উদাসীনতা?
তবে জনমনে আস্থা এনেছে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কলম কথা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রভাতে মাইকের মাধ্যমে দেশাত্মবোধক গান বাজানোর ব্যবস্থা করে এবং প্রভাতফেরিসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।